মোস্তাফিজের আইপিএলও শেষ, রওনা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের পথে

এবারের আইপিএলটা মোস্তাফিজুর রহমানের ভালো কাটেনি একেবারেই। দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই ছিলেন বেজায় খরুচে, ওভারপ্রতি দিয়েছেন ১১.২৯ রান। উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি। যে প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছিলেন, সব মিলিয়ে তা অপূর্ণই থেকে গেছে।

দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২৩ আইপিএল শেষ হয়েছে মোস্তাফিজের। দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে বাঁহাতি এ পেসারের গন্তব্য এবার ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের হয়ে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে খেলবেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। আইপিএল থেকে দেশে ফিরেই আজ ইংল্যান্ডের পথে রওনা হয়েছেন মোস্তাফিজ।

ইংল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে বিমানে বসে তোলা একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন মোস্তাফিজ। সেখানে লিখেছেন, ‘এখন জাতীয় দায়িত্ব পালনের সময়। ইংল্যান্ডে রওনা হচ্ছি বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। বাংলাদেশ দলের জন্য আপনাদের সবার দোয়া চাই।’

এর আগে গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির ছাড়ার আগে রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে ছবি তোলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। সেটিও দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান পন্টিং আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পন্টিং মোস্তাফিজের কাঁধে হাত দিয়ে আছেন। মোস্তাফিজ ইনস্টাগ্রামে ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দারুণ কিছু স্মৃতির জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। এত সব কিংবদন্তির সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়াটা আনন্দের। আপাতত বিদায়, আবার দেখা হবে।’

টানা দুই মৌসুম দিল্লির হয়ে খেললেন মোস্তাফিজ। গত মৌসুমে শুরুর দিকে ভালো করলেও পরের দিকে ধারাবাহিকতা ছিল না। তবু দিল্লি এবার তাঁকে ধরে রাখে। গত মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর ভাড়া করা উড়োজাহাজে করে ভারতে যান মোস্তাফিজ। প্রথম মাঠে নামার পান দিল্লির চতুর্থ ম্যাচে—মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে। ৪ ওভার বোলিং করে ৩৮ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। শুরু এবং শেষের ২ ওভারে ভালোই মার খান তিনি। এর মধ্যে ঈশান কিষানের এক ওভারেই হজম করেন টানা তিনটি বাউন্ডারি।

দ্বিতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪১ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের লিটন দাসও খেলেছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তিনি মাত্র এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। মোস্তাফিজের আগে ভারত থেকে ফিরে লিটনও গেছেন ইংল্যান্ডে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *